গ্রীন বিল্ডিং কনসেপ্ট ও আমরা

আজকাল বিশ্বের উন্নত দেশগুলো পরিবেশবান্ধব স্থাপনার ক্ষেত্রে  যে বিষয়গুলোর উপর অধিক গুরুত্বারোপ করছে তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গ্রীন বিল্ডিং কনসেপ্ট (এৎববহ ইঁরষফরহম ঈড়হপবঢ়ঃ). মাটি, বাঁশ, কাঠ ইত্যাদি দেশীয় সহজলভ্য উপকরণ দিয়ে তৈরি করছে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা, যেগুলোকে বলা হচ্ছে গ্রীন বিল্ডিং অথবা ইকো ফ্রেন্ডলি বিল্ডিং (ঊপড় ঋৎরবহফষু ইঁরষফরহম). বাংলাদেশের অনেক স্থপতি দেশীয় উপকরণের ব্যবহার শুরু করেছে যা অবশ্যই আশাব্যঞ্জক। গ্রীন বিল্ডিং কনসেপ্ট আসলে অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে; যেমনÑ প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, অর্থনৈতিক ভারসাম্য, সামাজিক শৃঙ্খলা-স্থাপন, তৈরির উপকরণ থেকে শুরু করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও গ্রীন বিল্ডিং কনসেপ্টের মধ্যে পড়ে।

এখন প্রশ্ন হলো এই সবুজ আবাসনের ধারণা কিংবা চিন্তা কি আমাদের জন্য একেবারেই নতুন কিছু? অন্যভাবে বলা যায়, আমরা কি এর সাথে অনেক আগে থেকেই পরিচিত ছিলাম না। এরই কিছু বাস্তবচিত্র তুলে ধরা হলো।

প্রথমেই আসা যাক, স্থাপনা তৈরির উপকরণ হিসেবে মাটির ব্যবহার। আমরা যদি একটু ভালোভাবে লক্ষ করি তাহলে দেখা যাবে আমাদের দেশের গ্রামগঞ্জে এখনও অনেক চৌচালা কিংবা দোচালা বাড়ি রয়েছে যেগুলোর পার্শ্ব দেয়াল ১০-১৫ ইঞ্চি মাটির তৈরি। এগুলোর গঠনশৈলী পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে দেয়ালগুলোর ভেতরে বাঁশের তৈরি ফ্রেম বিদ্যমান যা নির্মাণ উপকরণ হিসেবে কাজ করছে। অনেক ক্ষেত্রে কাদা মাটির সাথে খড় মিলিয়ে ম- তৈরি করে তারপর সেটাকে নির্দিষ্ট আকার এনে দেয়াল তৈরির উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে ভেতরের স্তরে চট বা পাটের দড়ি (পাটের আঁশ) ব্যবহারও এ দেশে অত্যন্ত প্রাচীন। গৃহস্থরা প্রতিদিন দেয়ালে পানি, মাটি ও অন্যান্য জৈব পদার্থ মিলিয়ে আস্তরণ দিয়ে থাকে যার দরুন সেটি হয় অনেক শক্ত ও মজবুত, যা সহজে ক্ষয় হয় না।

অধিকাংশ গ্রামে চৌচালা কিংবা দোচালা টিনের ছাদ দেওয়া হয়। যেখানে বৃষ্টির পানি গড়িয়ে পড়ার জন্য খাঁজ কাটা হয় এবং সহজে বৃষ্টির পানি মাটিতে স্থাপনার একপাশ দিয়ে মাটিতে পড়ে এবং অনেক বাড়িতে এই পানি সংরক্ষণের জন্য পাশে একটি চিকন ড্রেন তৈরি করে সংরক্ষণ করে বিভিন্ন কাজে লাগানো হয়। এটাকে রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং (জধরহ ডধঃবৎ ঐধৎাবংঃরহম) পদ্ধতির সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ছাদে ঢেউটিন (গবঃধষ ঞরহ) ব্যবহার করে নিচে চাটাই বা বাঁশের তৈরি এক ধরনের পাতলা পার্টিশন ব্যবহার করা হয়। যার দরুন টিন এবং পাশের পার্টিশনের মাঝে এয়ার গ্যাপ (অরৎ এধঢ়) তৈরি হয়, যা ঘরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য কোর্টইয়ার্ড কনসেপ্ট (ঈড়ঁৎঃুধৎফ ঈড়হপবঢ়ঃ) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যা বর্তমানে গ্রীন বিল্ডিংয়ের অপরিহার্য অংশ যেখানে অ্যাপার্টমেন্ট ভবনগুলোতেও আলো বাতাস চলাচলের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। আমাদের দেশের নিয়ম অনুযায়ী সাধারণত প্রতিটা বিল্ডিংয়ের জন্য তার মধ্যবর্তী স্থানে (১স ী ১স) জায়গা নিম্নপক্ষে ছেড়ে দেওয়ার বিধান রয়েছে। যার দরুন স্থাপনা যদি ৩তলা বিশিষ্ট হয় তাহলে কোর্টইয়ার্ডের সর্বনিম্নœ পরিমাণ হবে ৩স ী ৩স আবার স্থাপনা যদি ৪তলা বিশিষ্ট হয় যার কোর্টইয়ার্ড হবে ৪স ী ৪স।

এবার আমরা যদি একটু ভালোভাবে লক্ষ করি তাহলে দেখা যাবে আমাদের দেশে পুরনো স্থাপনা, গ্রামের বসতবাড়ির কোর্টইয়ার্ড কিংবা বসতবাড়ির অভ্যন্তরে বর্গাকৃতি অথবা আয়তাকার ফাঁকা জায়গা বিদ্যমান থাকে, অনেক ক্ষেত্রে এটাকে উঠান বলা হয়। এই উঠান একটু বড় হলে সেখানে অনেক ধরনের গাছ লাগানো হয়। এমনকি সবজি বাগানও করা যেতে পারে। এই উঠান বা কোর্টইয়ার্ড সাধারণত বারান্দা দ্বারা চারপাশ থেকে আবদ্ধ থাকে। আর বারান্দার সাথে সংযুক্ত থাকে বিভিন্ন ধরনের ঘর বা স্পেস।
অথচ বর্তমানে আমরা নতুন যে অ্যাপার্টমেন্ট ভবন কিংবা আবাসন তৈরি করছি যার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই কনসেপ্ট দেখা যায় না। এর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা যায় নিম্নোক্ত কয়েকটি বিষয়Ñ
ক্স    জমির অতি উচ্চ মূল্য
ক্স    ফাঁকা জমির পরিমাণ কমে যাওয়া
ক্স    অপরিকল্পিত নগরায়ণ ইত্যাদি।

গ্রামগঞ্জে বাড়ির চারপাশে বিভিন্ন ধরনের ঋতুভিত্তিক গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে গুরুত্ব আরোপ করা হয় অতি প্রাচীন কাল থেকেই। যদি পাশে কোনো জলাশয় বিদ্যমান থাকে তাহলে ঐ জলাশয়ের পানি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এসব ক্ষেত্রে এমনকি এই গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক চাহিদার পূরণও সম্ভব।
যা ১৯৮০ সাল থেকে ইউরোপে ল্যান্ডস্কেপ স্থাপত্যে বহুল পরিচিতি লাভ করে এবং গ্রীন বিল্ডিং কনসেপ্টে গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে পয়েন্ট নির্ধারণও করা হয়। অথচ আমরা আমাদের পুরনো স্থপনাগুলোতে কিংবা গ্রামের বাড়িগুলোতে সুযোগ পেলে শহরের স্থাপনাগুলোতেও সব সময় বাড়ির চারপাশে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম ফলজ বৃক্ষ রোপণ করে থাকি। এমনকি ছাদেও সবজি বাগান করতে দেখা যায়। আমাদের মাটি অত্যন্ত উর্বর আর এই উর্বর মাটিতে অতি অল্প সময়ে গাছগুলো বেড়ে ওঠে আমাদের দেশের আলো বাতাসে। তাই একটু সদিচ্ছা থাকলে রুফ গার্ডেন (জড়ড়ভ এধৎফবহ) কিংবা ল্যান্ডস্কেপিং (খধহফংপধঢ়রহম) আমাদের জন্য কঠিন কিছু না। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে বাংলাদেশ জাতীয় গৃহায়ন নীতিমালায় বলা আছে বাড়ির চারপাশে যে খোলা জায়গা বিদ্যমান তার ৫০% আচ্ছাদিত থাকবে এবং যেখানে কোনো রকমের চধাবসবহঃ ড়ভ ঝঁৎভধপরহম করা যাবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই খোলা জায়গাগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি চঁৎষরহম কিংবা আচ্ছাদন তৈরি করা হচ্ছে।

গ্রীন বিল্ডিংয়ের আরেকটি উল্লেখযোগ্য উপাদান হলো শেডিং ডিভাইস (ঝযধফরহম উবারপব)। বর্তমানে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ এ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ শেডিং ডিভাইসের মাধ্যমে একদিকে যেমন সূর্যের আলোকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, অন্যদিকে বিভিন্ন পরিবেশগত বিপর্যয় থেকে অভ্যন্তরকে রক্ষা করা যায়। বর্তমানে বাজারে অ্যালুমিনিয়াম থেকে শুরু করে কাঠের তৈরি বিভিন্ন ধরনের সোলার শেডিং ডিভাইস (ঝড়ষধৎ ংযধফরহম ফবারপব) পাওয়া যায়। অথচ আশ্চর্য হলেও সত্য যে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে থাকা অনেক পুরনো স্থাপনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরন এবং ধাঁচের শেডিং ডিভাইস বা ঝপৎববহ দেখতে পাওয়া যায়, যার গঠনশৈলী থেকে শুরু করে কার্যপ্রণালী সবসময় প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করে আসছিল অথচ আমরা সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের এই স্থাপতিক বৈশিষ্ট্যগুলোকে প্রায় ভুলতে বসেছি এবং সেই সাথে ভিনদেশীয় স্থাপত্য ভাবনাকে এই দেশের মাটিতে সমর্থন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যার দরুন আমরা আমাদের ঐতিহ্য-কৃষ্টি-কালচার থেকে দূরে সরে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। যা আমাদের জন্য হুমকিস্বরূপ। কারণ আমরা যদি আমাদের স্থাপনার ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রযুক্তি-ঐতিহ্য ব্যবহার করতে পারি সেটিই হবে আসল স্বকীয়তা।

সহযোগিতায় :
লিমা, নিশান, রাফি, তাসমিয়া, নিহা, মূর্ছনা, সিকাদ, স্থাপত্য বিভাগ, চুয়েট।

ক্যালিসের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়


গত ডিসেম্বরে বিদায় নিয়েছিলেন টেস্ট ক্রিকেট থেকেকিন্তু রঙিন পোশাকে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলে যেতে চেয়েছিলেন আরও কিছু দিনআগামী বিশ্বকাপে তাকে দলে চেয়েছিলেন নির্বাচকরাওকিন্তু জুলাই মাসের শুরুতে শ্রীলঙ্কা সফরে তিন ওয়ানডেতে মাত্র ৫ রান করার পর সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই বিদায় বলে দিলেন জ্যাক ক্যালিসসর্বকালের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার ক্রিকেটারকে তাই আর দেখা যাবে না দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলতে
ক্যালিস, kallis


টেস্ট-ওয়ানডে দুই ধরনের ক্রিকেটেই ১০ হাজার রানের মালিক ক্যালিস ওয়ানডেতে করেছেন ১১ হাজার ৫৭৯ রানটেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রানের তালিকায় আছেন সাতেওয়ানডেতে ১৭টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি আছে ৮৬টি ফিফটিতবে ক্যালিস মানে তো শুধু ব্যাটিং নয়ওয়ানডেতে ২৭৩টি উইকেটও আছে তার

আগামী অক্টোবরে ৩৯ পূর্ণ করতে চলা ক্যালিস অবশ্য আরও কিছুদিন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে যেতে চানবিশেষ করে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোhttp://www.news24entertainment.com/%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%9b%e0%a7%81%e0%a6%87-%e0%a6%b8%e0%a6%b9%e0%a6%9c-%e0%a6%a8%e0%a7%9f/

ব্রাজিল সেমিফাইনালে

 

চলতি বিশ্বকাপের অনেক ম্যাচেই রেফারিং খুবই বাজে হয়েছে। বিশেষ করে স্বাগতিক ব্রাজিলের বিপক্ষে অনেক ভুল সিদ্ধান্ত দেওয়া হচ্ছে। আজকের রাতের ম্যাচে ব্রাজিলের অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা এবং গোলরক্ষক জুলিও সিজারকে অন্যায়ভাবে হলুদ কার্ড দেওয়া হলো। আবার ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড খেলোয়াড় নেইমারকে খুবই বাজেভাবে ফাউল করা সত্বেও প্রতিপক্ষ কলম্বিয়ার খেলোয়াড়কে কোন কার্ডই দেওয়া হলো না। সেমিফাইনালে ব্রাজিল ও জার্মানির মধ্যকার খেলায় নেইমার পুরোপুরি সুস্থ হয়ে মাঠে নামতে পারে কিনা সে বিষয়ে অনেক সংশয় রয়েছে।
আগের ম্যাচে চিলির বিপক্ষে ব্রাজিলের হাল্কের একটি গোল রেফারি তো দেয়ই নি উপরন্তু হাল্ককে হলুদ কার্ড দিয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে বল হাল্কের বুকে লেগেছে, কোনভাবেই হাতে লাগে নি। ডেভিড লুইস ও থিয়াগো সিলভার মূল কাজ হলো দলের রক্ষণভাগ সামলানো; তাদের সেই কাজের পাশাপাশি আজ তারা দুজনে শুক্রবার রাতের ম্যাচে কলম্বিয়ার বিপক্ষে একটি করে গোল করে দলকে অনেক সহায়তা করেছেন।
 

হাতিরঝিল প্রকল্প নগর বিনোদনের নতুন প্রাণকেন্দ্র




মেহেদী হাসান


কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ বা প্রগতি সরণির বিরক্তিকর যানজট ঠেলে কোনোরকমে প্রবেশ করতে পারলেই অনাবিল সৌন্দর্য আর দৃষ্টিনন্দন লেক। এঁকেবেঁকে চলা রাস্তা, সড়কদ্বীপে রঙিন ফুল মন না মাতিয়ে পারে না। হঠাৎই চোখ আটকে যায় নৌকা বাইচে! তাও ইট-কাঠ আর কংক্রিটের এ নগরীতে। এ কী! রাজহাঁসের জলকেলিও তো চলছে! না! একে তো ঢাকা মনে হচ্ছে না! ঢাকার মধ্যে এ যেন এক স্বপ্নপুরী। এটি দেশের বিনোদনের সবচেয়ে বড় ও নান্দনিক স্থাপনা। বলছিলাম, সদ্য উন্মুক্ত হাতিরঝিল প্রকল্পের কথা।


যেভাবে শুরু

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সমীক্ষায় এ নতুন প্রকল্পের পরিকল্পনা হয় ২০০৭ সালের মাঝামাঝি। প্রকল্পটি যাচাই-বাছাই শেষ হওয়ার পর ওই বছরেরই ৮ অক্টোবর একনেকের সভায় এটি অনুমোদন পায়। প্রাথমিক অবস্থায় এর ব্যয় ধরা হয়েছিল এক হাজার ৪৮০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ২০০৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় এবং প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয় ২০০৯-এর জুন মাসে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করার। কিন্তু ২০০৯-এর জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও জমি অধিগ্রহণ, বাড়িঘর উচ্ছেদ আর একাধিকবার নকশা বদলের কারণে এর বাস্তবায়নে ঘটেছে অনাকাক্সিক্ষত বিলম্ব। এ ছাড়াও আদালতে ঝুলে থাকা অনেক মামলাও নিষ্পত্তিতে সময় লেগেছে। তবে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেগুনবাড়ী-হাতিরঝিল প্রকল্পের মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়িয়ে ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত ধরা হলেও চলতি বছরের ২ জানুয়ারি বুধবার এটির উদ্বোধন করা হয়। শেষ পর্যন্ত এর ব্যয়ভার দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৭১ কোটি টাকা।



Brazil won by 3-1

Brazil 3-1 Croatia
brazil, croatia

চেতনায় ভাষা জাদুঘর


শামস আহমেদ

মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন এ দেশের বীর তরুণেরা। তাদের এই আত্মত্যাগের ফলেই বাংলা ভাষা আজ সারা বিশ্বে শুধু একটি ভাষাই নয়, একটি রক্তঝরা আন্দোলনের নাম। কিন্তু ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস আমাদের অনেকের কাছেই অজানা। 
 জাদুঘর, ঐতিহ্য


আর এ অজানা থাকার কারণে আমাদের মধ্যকার ভাষার চেতনা হারিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে মূল্যবোধ। ভুলে যাচ্ছি যাদের অবদানের জন্য আজ আমরা সুন্দরভাবে নিজ ভাষায় কথা বলছি তাদের কথা। ভাষা শহীদদের অবদানের কথা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পলাশী মোড়ে স্থাপিত হয়েছে ভাষা দাবিতে আত্মোৎসর্গকারীদের স্মরণে ভাষা জাদুঘর।


আবুল বরকত স্মৃতি জাদুঘর

ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই গড়ে তোলা হয়েছে এ জাদুঘর। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময়ে সংগৃহীত নানা দ্রব্যসামগ্রী, বিভিন্ন দলিল নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে এই জাদুঘরটি। ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। ঢাকাসহ সমগ্র দেশে সংঘটিত ভাষা আন্দোলনের রূপরেখা যথাসম্ভব তথ্যনিষ্ঠ রূপে তুলে ধরার পাশাপাশি সাহিত্য সংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গনে এর প্রভাব বিশেষত একুশের প্রভাব চিহ্নিত করা এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য। এ জাদুঘরটি তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত ও আন্দোলিত করবে। জাদুঘরটিতে ঘুরতে আসা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ’র শিক্ষার্থী তাহসানের মতে, আমি নিশ্চিত জাদুঘরটি আমাদের জন্য শিক্ষণীয় ও গবেষণার কাজে বেশ গুরুত্বপূূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

জাদুঘরটি পলাশী বাজারস্থ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের পশ্চিমে, সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের দক্ষিণে অবস্থিত। জাদুঘরটির দক্ষিণে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।

নির্মাণের নানা কথা
প্রায় ৩৩ শতাংশ জায়গায় উপর ৬৮ লাখ ৫ হাজার ৩শ’ ১৫ টাকা ব্যয়ে ঢাকা জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে জাদুঘরটি নির্মিত। এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছিল প্রভাতী এন্টারপ্রাইজ। ২০০৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে নির্মাণ কাজ শেষে তাত্ত্বাবধানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তর করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। বর্তমানে এর পরিচালনা ও সার্বিক দায়-দায়িত্বে¡ রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। উল্লেখ্য, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয় ভাষা শহীদ আবুল বরকতের নামে একটি স্মৃতি জাদুঘর স্থাপন করার। একই বছরের ৮ অক্টোবর স্থানীয় সরকার বিভাগ ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে কার্যাদেশ দেয়।

জাদুঘরের ভেতর-বাহির
ভবনের তিনপাশে প্রশস্ত রাস্তা রয়েছে। লোহার গ্রিলের নান্দনিক পাঁচিলে ঘেরা এই জাদুঘরে প্রবেশ করতে হলে আপনাকে বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে ভেতরে ঢুকতে হবে। দর্শনার্থীদের ভেতরে প্রবেশের সময় সাথে থাকা ব্যাগ ও অন্যান্য জিনিসপত্র বাইরে রেখে যেতে হয়। এ জন্য জাদুঘরের অভ্যর্থনা ডেস্কে রাখা যায়। দ্বিতল ভবনের পুরোটা গ্লাস এবং দেয়ালের নিবিড় সংমিশ্রণে করা হয়েছে। ইচ্ছে করলেই বাইরে থেকে ভেতরের সব দেখতে পাবেন। তবে দ্বিতীয় তলায় তা হবে না। জাদুঘরের এক কোণে রয়েছে দ্বিতীয় তলায় যাওয়ার সিঁড়ি। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে তিনটি ছোট-বড় বেলকনি। এখানে বসে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। প্রচুর আলো বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে রয়েছে আরো নান্দনিক কিছু কাজ। এর দ্বিতল ভবনের উপর তলায় রয়েছে একটি লাইব্রেরি। লাইব্রেরিতে রয়েছে ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের উপর রচিত শ’তিনেক বই। আরো বই সংগ্রহের কাজ চলছে। লাইব্রেরির তিন পাশে রাখা হয়েছে খোলা ছাদ। এতে সহজে আলো বাতাস পাওয়া যায়। লাইব্রেরিটির চারপাশে রয়েছে ফাইবার গ্লাসের জানালা। লাইব্রেরিতে বসে বই পড়ার জন্য রয়েছে সুন্দর চেয়ার টেবিল। মনভোলানো পরিবেশে পড়াশোনা করা যায়। লাইব্রেরিতে রয়েছে একটি ড্রয়িং রুম এবং দুটি ওয়াশ রুম।

কী দেখবেন
জাদুঘরটিতে সংরক্ষিত আছে শহীদ আবুল বরকত ব্যবহৃত কাচের পিরিচ, ঘড়ি ও ছোটবেলার একটি পুতুল। রয়েছে তার বাবাকে লেখা কিছু চিঠি। এ ছাড়া দেখা যাবে শহীদের পরিবারের কিছু দুর্লভ ছবি। ভাষা আন্দোলনের উপর নির্মিত নানান ডকুমেন্টারিও এখানে পাওয়া যাবে। এখানেই সংরক্ষিত রয়েছে শহীদ আবুল বরকতের পাওয়া মরণোত্তর একুশে পদক। সংগ্রহশালাটিতে ঢোকার পথে রয়েছে ফাইবার গ্লাসের দরজা। সহজে আলো ঢোকার জন্য ঘরের দুই পাশে ব্যবহার করা হয়েছে ফাইবার গ্লাস। এর ফলে সহজে সকালের প্রথম রোদ ঘরে প্রবেশ করে। ভেতরে সাদা গ্রানাইট পাথরের মেঝে ঘরটির মধ্যে আলোর ঝলকানি সৃষ্টি করেছে। যা এক অপূর্ব নান্দনিক স্থাপত্যকলায় ভরপুর।

প্রদর্শনী গ্যালারি
ভাষা আন্দোলন নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনীর জন্য গ্যালারির সুুবিধা রয়েছে। বিশেষ দিনে বিভিন্ন প্রদর্শনী এবং ভাষা আন্দোলনের উপর তৈলচিত্র ও মুক্তিযুদ্ধের উপর তৈলচিত্র প্রদর্শনী হয় এখানে।
পরিদর্শন সহায়তায় গাইড
দেশ বা বিদেশ থেকে যারা এই জাদুঘরটি পরিদর্শন করতে আসবেন তাদের জন্য জাদুঘর কর্তৃপক্ষ একজন গাইড নিয়োগ করে রেখেছেন। যিনি পুরো জাদুঘরটি দর্শনার্থীদের দেখিয়ে থাকেন। এ জন্য কাউকে কোনো টাকা দিতে হয় না। জাদুঘরটিতে গাইডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ লাইব্রেরি সম্পর্কে জানতে চাইলে লাইব্রেরির তত্ত্ব¡াবধায়ক সুন্দরভাবে গাইড করছেন এবং বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করে থাকেন। জাদুঘরটির তত্ত্ব¡াবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোঃ গোলাম মোস্তফা। প্রয়োজনে তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। মোবাইল : ০১৭১৬-৮৮৭৭৯৫।


শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত এই জাদুঘরটি পরিদর্শনে যায় শিক্ষার্থীরা। তবে স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীর জন্য বিশেষ সুবিধা রয়েছে। এখানে আগত প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর জন্য টিফিনের ব্যবস্থা করা এবং পরিবহন ব্যবস্থার কথা থাকলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি বলে জানান লাইব্রেরির তত্ত্ব¡াবধায়ক।

পরিদর্শনে আসছে যারা
প্রতিদিন প্রায় ৫০-৬০ জন দর্শনার্থী আসে জাদুঘরটিতে। জাদুঘরে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র ইকরামুল জানালেন, এখানে আসার পর ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস আরো সুন্দরভাবে জানতে পেরেছি। জানতে পেরেছি অনেক না জানা তথ্য। তিনি আরো জানান, প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর উচিত এই জাদুঘরটিতে আসা এবং ’৫২-এর চেতনাকে বুকে লালন করা। তবেই এ প্রজন্ম শিখবে ভাষা শহীদদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে।

পার্কিং ব্যবস্থা
অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি এই লাইব্রেরিতে ঘুরতে আসাদের কথা মাথায় রেখে এবং ঢাকা শহরের যানজটের কথা ভেবে বিশেষভাবে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেহেতু ভবনটির তিনদিকে প্রশস্ত রাস্তা রয়েছে, সেহেতু গাড়ির চাপ একটু বেশি। আর এই চাপ সামলাতে এক সঙ্গে প্রায় ১৫-২০টি পর্যন্ত গাড়ি পার্কিং সুবিধা রাখা হয়েছে নিজস্বভাবে। এ জন্য কোনো প্রকার মাসুল দিতে হয় না।


ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্মারক বর্ধমান হাউস






গাজী মুনছুর আজিজ

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যচর্চার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমীর মূল ভবন বর্ধমান হাউসসাদা ধবধবে ভিক্টোরিয়া আমলের বাড়ি এটিএকে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমীর উদ্যোগে ভাষার মাসে বসে একুশে বইমেলাশুধু বইমেলা বললে ভুল হবে, এটি প্রাণের মেলাওযে বাড়িটিকে কেন্দ্র করে এতসব আয়োজন সেই বর্ধমান হাউসের ইতিহাসটুকু একেবারেই তুচ্ছ নয়

Realmadrid won La Decima

 Real 4-1 Atletico

রিয়ালের দশম চ্যাম্পিয়ন্স  ট্রফি লাভ
অতিরিক্ত সময়ে ৩ গোল করে রিয়াল মাদ্রিদ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ৪-১ গোলে হারিয়ে দশম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ঘরে তুলল।

জয়ের নায়ক বেল ও রামোস

 



La Leaga Champion Atletico Madrid




Barcelona 1-1 Atletico Madrid

বার্সেলোনার কোটি সমর্থকের মন ভেঙে দিয়ে লা লিগার শিরোপা জিতল অ্যাটলেটিকমাদ্রিদ। প্রথমার্ধে ৩৪ মিনিটে বার্সার সানচেজ গোল করে বার্সার শিরোপার আশা জাগালেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ গোল শোধ করে বার্সার শিরোপার আশা ধূলিসাত করে দেয়।

 

এসিড নিক্ষেপের মামলায় সিরাজগঞ্জে দুইজনের যাবজ্জীবন





এসিড নিক্ষেপের মামলায় সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার চরনন্দীগাতী গ্রামের বাবু চান ও সোনতলা গ্রামের মো. কাশেম আলীকে জাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ইলিয়ট ব্রিজ






ইলিয়ট ব্রিজ। সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যিক স্থাপত্য। বড় পুল নামে অধিক পরিচিত। এটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো কোনো পিলার ছাড়াই শুধু স্টিল ফ্রেমের ওপর অবস্থিত। ১৮৮২ সালের ৬ আগস্ট এই ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বাংলা ও আসামের তকালীন প্রশাসক স্যার চার্লস ইলিয়ট। বড়াল নদীর ওপর নির্মিত এই ব্রিজটি ১৮০ dzU দীর্ঘ ও ১৬ ফুট চওড়া। স্রোতস্বিনী সেই বড়াল মরে গেলেও শহরের মধ্যভাগে স্থাপিত এই ব্রিজ পূর্ব ও পশ্চিম অংশের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে চলেছে এখনও।


অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে পরাজিত

২ নম্বর গ্রুপ থেকে কে হবে ভারতের সঙ্গী
অস্ট্রেলিয়া/পাকিস্তান/ ওয়েস্ট ইন্ডিজ?
gayle, bravo, sammy
ব্রাভো-স্যামির ১৯ বলে ৪৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। সঙ্গে গেইল

আশা জাগিয়েও পারল না নেদারল্যান্ডস

দক্ষিণ আফ্রিকা জিতল ৬ রানে
imran tahir


ইংল্যান্ডের সহজ জয়

এ্যালেক্স হেলসের কাছে হারল শ্রীলঙ্কা
১৮৯ রান করেও জিততে পারল না শ্রীলঙ্কা। শূন্য রানে ২ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের হার যখন সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল তখন হেলস আর
আর মরগ্যানের বড় জুটি ত্রাতার কাজ করল।
alex hales
 ৬৪ বলে অপরাজিত ১১৬ রান করা এলেক্ম হেলস

ভারতকে সহজ জয় এনে দিলেন বোলাররা

ধরাশায়ী বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ
gayle
বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ গেইল অন এ্যাকশন

Pakistan won by 16 runs

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাকিস্তান ১৬ রানে জয়ী
akmal brothers
৯৬ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক কামরান ও উমর

New Zealand beat England

ইংল্যান্ডকে ৯ রানে হারালো নিউজিল্যান্ড (ডি/এল মেথোডে)
ইংল্যান্ড ১৭২/৬  (২০ ওভার)

নিউজিল্যান্ড ৫২/১ (৫.২ ওভার)
=
স্টুযার্ট ব্রড ও ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম

শ্রীলঙ্কার দুরন্ত সূচনা

দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ রানে পরাজিত
সাঙ্গাকারা ও মাহেলা
সাঙ্গাকারা আর  মাহেলাকে এই বিশ্বকাপের পর দেখা যাবে না টি২০-তে

সোহাগের বিশ্বরেকর্ড

সোহাগ বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ক্রিকেটার,  যিনি এক ম্যাচে শতক এবং ৫ উইকেট পেয়েছেন।
সোহাগ গাজী

LinkWithin